ফিলিপাইনে নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চুরির ৮১ মিলিয়ন (আট কোটি ১০ লাখ) ডলার ফেরত দেওয়ার আশা করেছেন দেশটির সিনেটের প্রেসিডেন্ট র্যাল্ফ রেক্টো।ফিলিপাইনের দৈনিক পত্রিকা দ্য ইনকোয়ারার জানায়, আগামী ৩০ জুন বর্তমান প্রেসিডেন্ট অ্যাকুইনো পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আর এ সময়ের মধ্যে অর্থ ফেরত দেওয়া হতে পারে।আজ বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে রেক্টো বলেন, ‘জাতীয়ভাবে এটাই আমাদের সময়সীমা। প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত জীবনে ফিরে যাওয়ার আগে সঠিক মালিকের কাছে চুরি যাওয়া অর্থ পাঠানোর বিষয়টিই আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।’রেক্টো বলেন, বাংলাদেশকে অর্থ ফেরত দিতে দীর্ঘ সময় যদি লাগে, তাহলে বিষয়টি ভালো হবে না। নতুন প্রেসিডেন্ট আগমন ও পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ভোট গোনার চাইতে সেটা সহজ হবে।সিনেট প্রেসিডেন্ট বলেন, উদ্ধার করা সব অর্থ ৩০ জুনের মধ্যে যদি না দিতে পারা যায়, তাহলে সমস্যা নেই। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে বড় অঙ্ক ফেরত দিতে পারলেও হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি কিস্তিতে অর্থ ফেরত দিই, তাহলে প্রথম কিস্তিই হবে বিরাট অঙ্কের।বাংলাদেশের অর্থ ফেরত দেওয়ার আগে বেশ কিছু প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এর মধ্যে ম্যানিলার আঞ্চলিক বিচারিক আদালতে আগামী ২ মে সকাল সাড়ে ৮টায় এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।ফিলিপাইনের ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম ওং কয়েক দফায় বেশ কিছু অর্থ ফেরত দিয়েছেন সিনেট কমিটির কাছে।গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি করে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে আট কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপাইনে ও দুই কোটি যায় শ্রীলঙ্কায়। শ্রীলঙ্কা থেকে অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রিজার্ভ চুরির ঘটনার জের ধরে সম্প্রতি গভর্নর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ড. আতিউর রহমান।
৩০ জুনের মধ্যে অর্থ ফেরত দেওয়ার আশা ফিলিপাইনের
Share!