গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার কিশামত শেরপুর গ্রামের আরজিনা বেগম। একই এলাকার শেরেগুল ইসলামের (৩৫) সঙ্গে আরজিনার বিয়ে হয় প্রায় ১২ বছর আগে। বিয়ের প্রায় এক যুগ পেরিয়ে গেলেও সন্তান জন্ম দিতে পারছিলেন না তিনি। ফলে সমাজের নানা গঞ্জনার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। সেই সঙ্গে ছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অপবাদ।অবশেষে দীর্ঘ ১২ বছরের বন্ধ্যত্বের অপবাদ ঘুচেছে আরজিনার। সবাইকে অবাক করে দিয়ে একসঙ্গে পাঁচটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। যে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আরজিনাকে দেখতেই পারত না, সেখানেই এখন বইছে আনন্দের বন্যা।গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন আরজিনা।পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল প্রসব বেদনা শুরু হলে বিকেলে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাইনি চিকিৎসক সিরাজুম মুনিরা ডেইজির নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক অস্ত্রোপচার শুরু করেন। পরে একে একে পাঁচটি সন্তান প্রসব করান তাঁরা। এর মধ্যে তিনটি ছেলে ও দুটি মেয়ে।খবর পেয়ে আরজিনার শ্বশুর আবদুল সফু শেখ এখন মহাআনন্দিত। সঙ্গে সঙ্গেই কিনে নিয়ে আসেন প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রসহ পরিচর্যার অন্যান্য সামগ্রী। খুশি আরজিনার স্বামী শেরেগুল ইসলামও। তিনি ঢাকার ইবাইস গার্মেন্টে কর্মরত থাকলেও এখন ছুটি নিয়ে স্ত্রীর পাশে রয়েছেন।রমেক হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আজমীর আহমেদ জানান, সব বাচ্চাই সুস্থ রয়েছে। বাচ্চাদের ওজনও ভালো। তবে একটি সন্তান কিছুটা দুর্বল। তবে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।
একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম আরজিনা বেগম
Share!