দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে রোববারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২৭২ জন।এ ছাড়া আহতের সংখ্যা দুই হাজার ৫০০-এর বেশি বলে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।এএফপি জানায়, ইকুয়েডরের সমুদ্র-তীরবর্তী অঞ্চলে স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ইকুয়েডরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রের গভীরতা ছিল ১৯ দশমিক ২ কিলোমিটার। ই্কুয়েডরের পার্শ্ববর্তী পেরু ও কলম্বিয়ায়ও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।জানা গেছে, ভূমিকম্পের পরপরই ছয়টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ভূমিকম্পের খবর পেয়েই ইতালি সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফেরেন প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরিয়া। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দেশের নাগরিকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।বিবিসি জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল রাজধানী কিটো থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরের মুইসন শহর। ভূমিকম্পে রাজধানী ভয়ংকরভাবে কেঁপে ওঠে। এর পর থেকেই রাজধানীর কিছু অংশ বিদ্যুৎহীন রয়েছে। মানতা শহরের বিমানবন্দরের টাওয়ারও বিধ্বস্ত হয়েছে।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বন্দরনগরী গুয়াকুইলের অনেক ওভারপাস ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।কিটোর বাসিন্দা জইলা ভিলেনা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ভূমিকম্পের পরপরই সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশে বাড়িঘর থেকেও কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এ সময় তাঁর বাড়ির বিভিন্ন জিনিস মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ে।ইকুয়েডরের ভূমিকম্পে সুনামির আশঙ্কায় উপকূল অধিবাসীদের এলাকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রশান্ত মহাসাগরের সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ইকুয়েডরের সমুদ্রের তীর থেকে ৩০০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্র পর্যন্ত বড় ঢেউ দেখা যেতে পারে, যার উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে দশমিক তিন মিটার বেশি হতে পারে। এ ছাড়া পেরুর উত্তর উপকূলেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইকুয়েডরে ভূকম্পনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭২
Share!