পাবনায় মোটা ও নিম্নমানের চাল মেশিনে কেটে চিকন (সরু) করে বাজারজাত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার বেশ কয়েকটি রাইস মিলে মোটা চাল ছেঁটে চিকন ও পলিশ (মসৃণ) করার পর পলিথিন-চটের বস্তায় ভরে বিক্রি করা হচ্ছে।বিষয়টি জানার পরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা একদিকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে নানা অসুখের শিকার হচ্ছে।সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সহজ যোগাযোগের কারণে ঈশ্বরদী গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ চাল মোকাম গড়ে উঠেছে। ছোট-বড় প্রায় সাত শতাধিক ধান চাতাল রয়েছে এখানে। এসব চাতালে প্রায় ২০ হাজার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।সূত্র জানায়, অটোরাইস মিলে ভালো ব্যবসা হওয়ায় অনেক মালিক মোটা চাল ছেঁটে চিকন করার প্রকল্প হাতে নেয়। তারা দীর্ঘদিন থেকে নিম্নমানের ইরি ধানের মোটা চাল ছেঁটে চিকন করে বাসমতি, কাটারিভোগসহ নামি-দামি চালের সঙ্গে মিশিয়ে বাজারজাত করে আসছে।এ ব্যাপারে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) পাবনা শাখার সাধারণ সম্পাদক জেবুন্নেচ্ছা ববিন বলেন, এ বিষয়ে প্রশাসন অবহিত থাকলেও তারা ব্যবস্থা নেয় না।পাবনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো, মাঈন উদ্দিন জানান, বিষয়টি তারাও শুনেছেন। তবে সুনির্দিষ্ট করে কেউ অভিযোগ জানায়নি। তাই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।পাবনার সিভিল সার্জন ডা. সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া বলেন, এ ধরনের চাল স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিকর।
মোটা ও নিম্নমানের চাল মেশিনে কেটে চিকন করে বাজারজাত করা হচ্ছে
Share!