বাংলা বর্ষবরণকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারাদেশের ফ্যাশন ও বুটিক হাউসগুলোতে বাহারি রঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি-ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ আর টি-শার্ট তুলেছেন ছোট-বড় দোকানিরা। থরে থরে জড়ো করেছেন রূপা, কাঠ, পুঁতি আর মাটির বাঙালিয়ানা নানা গয়না। রয়েছে মূল্যছাড়ের বিশেষ ঘোষণা। তাই ফুটপাত থেকে শুরু করে বিপণিবিতান, শপিংমল সবখানেই জমে উঠেছে বেচাকেনা। তবে গতবারের তুলনায় এবার বৈশাখী পণ্যের বাজার বেশখানিটা চড়া।যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় বাজার চাঙ্গা থাকায় পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রয়েছে। বরং নববর্ষ উপলক্ষে ছাড়ের অফার থাকায় বৈশাখী পণ্যের পাশাপাশি বেশকিছু জিনিসের দাম কিছুটা কমেছে। উৎসবের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, বেচাকেনা ততই বাড়ছে। বিক্রি বেশি হওয়ায় দোকানিরা কিছু কম লাভেই বৈশাখী পণ্য বিক্রি করছেন বলে দাবি করেন তারা।তবে ক্রেতারা বলছেন, দুই-তিন সপ্তাহ আগেও যে পাঞ্জাবির দাম ছিল পাঁচ থেকে ছয়শ টাকা, এখন মূল্যছাড়ের পরও তা হাঁকা হচ্ছে সাড়ে সাতশ’ থেকে আটশ’ টাকা। আর হাজার টাকার নিচে বৈশাখের নকশা করা শাড়ি কোনো বুটিক ও ফ্যাশন হাউসেই বিক্রি হচ্ছে না। ফতুয়া-টিশার্টের দামও বেড়েছে পিসপ্রতি এক থেকে দেড়শ’ টাকা। দেড় হাজার টাকার সেলোয়ার-কামিজ ১৮শ’ থেকে দুই হাজার টাকা দাম ধরা হয়েছে। মধ্যমানের তাঁতের শাড়ির দরও দেড় থেকে দুইশ’ টাকা বেশি হাঁকা হচ্ছে বলে দাবি করেন অধিকাংশ ক্রেতা। তাদের ভাষ্য, বাজার মনিটরিং না থাকায় একশ্রেণির ধূর্ত ব্যবসায়ীরা মূল্যছাড়ের ফাঁদ পেতে অনায়াসেই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছেন। আর এতে ভোক্তার সঙ্গে ঠকছেন সাধারণ উৎপাদনকারীরাও। উৎসবের আমেজের কেনাকাটা থেকে ছিটকে পড়ছেন নিম্নবিত্তরা। একই সঙ্গে বাজারে প্রচুর নিম্নমানের পণ্য ঢুকে পড়ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এখন বৈশাখ আইছে, দাম যাই হোক, পাবলিকে ইলিশ কিনবই।’এখন সব ইলিশই ফ্রিজে রাখা। পাবলিকে চালাক। আগে মাছ কিনা ফ্রিজে রাখে। আর পাইকারেরও কোল্ড স্টোরেজে রাখে। এমন কারবার এক মাস আগে থাইক্যা চলতাছে।’ইলিশের দামের ঝিলিক শুধু রাজধানীতে নয়; পিরোজপুর, চাঁদপুরে মূল্য বেশ চড়া। প্রায় দিন দশেক আগে থেকে প্রতি কেজি ইলিশের দাম বেড়েছে এক হাজার টাকা।