হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীকে দেখতে গিয়ে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কিশোরী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রয়েছে। সে শহরতলির গেরদা ইউনিয়নের একটি বাড়িতে কাজ করত।গত শনিবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীকে দেখতে যায় সে।ওই রোগী জানান, তিনি বেশ কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত শনিবার তাঁদের গৃহকর্মী ভুক্তভোগী ওই কিশোরী তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যায়। কিন্তু সে ভুল করে ছয়তলার পরিবর্তে সাততলায় উঠে যায়। এ সময় আগে থেকেই ওই কিশোরীর পিছু নেওয়া কয়েক যুবক তাকে হাসপাতালের একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে অবস্থা খারাপ থাকায় ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেতরে একটি ‘দালাল’ চক্র রয়েছে। তারাই মূলত এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।ভুক্তভোগী কিশোরীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে ওয়ার্ড ইনচার্জ ওয়ার্ডের দরজায় লাগানো ‘কোনো প্রকার ছবি তোলা ও সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ’ লেখাটি দেখিয়ে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন।ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের ওয়ার্ড ইনচার্জ মো. কাউসার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে কিশোরীটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা এখন ভালো।ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল কালাম আজাদ জানান, পুলিশ ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছে। কিশোরীটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না, তা ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে। এর আগে কিছুই বলা যাবে না।এ বিষয়ে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক কে এম খবির বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর কিছু মেডিকেল টেস্ট করানো হয়েছে। আরো কিছু টেস্ট বাকি রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার নাগাদ রিপোর্ট পাওয়া যাবে।ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিমউদ্দিন আহমেদ জানান, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা মেয়েটির তরফ থেকে কেউ অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রোগী দেখতে গিয়ে হাসপাতালেই ধর্ষণ কিশোরী
Share!