মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাপাতলি বড়মেহের গ্রাম। সেখানকার দিনমজুর ইদ্রিস মাতুব্বরের ছেলে এমরান মাতুব্বর (১৮)। গতকাল সোমবার বিকেলে দুর্ব্যবহারের পর মা মাকসুদা বেগম ও ছোট ভাই এনামুলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় এমরানের। এর একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি কোপে গুরুতর আহত হন এমরান। এরপর প্রথমে তাঁকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে মৃত্যু হয় এমরানের। পুলিশ বলছে, ছোট ভাই এনামুলই হত্যা করতে পারেন এমরানকে। তবে মা মাকসুদা বেগমের দাবি, তিনি নিজ হাতে ছেলেকে হত্যা করেছেন।ঘটনার পর থেকে নিহতের ছোট ভাই এনামুল পলাতক। মাকসুদা বেগম বলেন, ‘আমার সন্তানকে আমি নিজ হাতে খুন করেছি। ও একটা অমানুষ। আমার সাথে অনেক খারাপ কাজ করার চেষ্টা করেছে। পরে আমি নিজেই ওকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করি। ’বাবা ইদ্রিস মাতুব্বর জানান, ‘এমরান দীর্ঘদিন ধরে নেশা করে ওর মার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত।’নিহতের চাচি হাসিনা বেগম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে এমরান ওর বোনের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছে।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামল বলেন, ‘এই ঘটনায় নিহতের মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, হয়তো নিহতের ছোট ভাই খুন করতে পারে। তবে আমরা জানতে পেরেছি নিহত এমরান ওর মার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত।’এসআই আরো বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দা জব্দ করেছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
‘সন্তানকে নিজ হাতে খুন করেছি,
Share!