লালমোহন ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার প্রার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্পাদক জাকির হোসেন ভুঁইয়াকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাম হাতের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ গিয়াস উদ্দিন ভুঁইয়ার বাহিনী। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চরমোল্লাজি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কব্জি কাটার পর কাটা কব্জি ও জাকিরকে পার্শ্ববর্তী খালে ফেলে দেয় হামলাকারীরা। মুমূর্ষু অবস্থায় জাকির হোসেন ভুঁইয়াকে লালমোহন হাসপাতালে এনে অপারেশন থিয়েটারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা নেয়া হয়েছে। ঘটনার জন্য ওসির নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করে পরিবার ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে থানা ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পর লালমোহন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম ও ওসি আকতারুজ্জামান এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন। : জানা গেছে, গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীকের জাকির হোসেন ভুঁইয়ার দুই কর্মী হেমায়েত ও মনজুসহ গণসংযোগ করতে যায় এলাকার চান মিয়া হাজী বাড়িতে। এ সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী মোরগ প্রতীতের গিয়াস উদ্দিন ভুঁইয়ার নেতৃত্বে রিয়াজ, শামীম, নাজিম, ফারুক, সিরাজ, ইলিয়াছ, নুরনবী, কালো জাকির, বাবুল, জসিম, জামাল, কামাল, ছালাউদ্দিন, হেলাল, হান্নান, আলাউদ্দিনসহ পার্শ¦বর্তী লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাকির হোসেন ভুঁইয়াকে অতর্কিত কুপিয়ে জখম করে বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে। গুরুতর জখমের শিকার জাকির ভুঁইয়াকে পার্শ্ববর্তী বেতুয়া খালে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও মহিলারা এসে জাকিরকে খাল থেকে উদ্ধার করে। পরে সাবেক চেয়ারম্যান মুজাম্মেল হক হাওলাদার ও আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন গিয়ে মুমূর্ষু জাকিরকে লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে ভোলা-৩ আসনের এমপি আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ঢাকা থেকে বিশেষ হেলিকপ্টার পাঠিয়ে জাকিরকে ঢাকা নিয়ে যায়
Share!