রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) প্রায় ৭০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তুলে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন বলেন, ‘রাজধানীর টপ টেন কলেজের একটি মোল্লা কলেজ। এই কলেজটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করবে ভাবতেও পারিনি।
শিক্ষার্থীরা এমন করতে পারে আমরা ভাবিনি। আমাদের সব ধ্বংস করে দিয়েছে।’ এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফেরাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করার বিকল্প নেই।
শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে কুচক্রি মহল কাজ করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা আমরা চাই না।’ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬০-৭০ কোটির মতো উল্লেখ করে অধ্যক্ষ নয়ন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হামলায় আমাদের ১২ তলা ভবনের কোনো কাচ আর অক্ষত নেই।
৫টি লিফট, কম্পিউটার ও সায়েন্স ল্যাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা নগদ টাকা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সার্টিফিকেট, ৩০০-এর বেশি ফ্যান, প্রায় ৩০টির মতো ল্যাপটপ, অসংখ্যা কম্পিউটারসহ মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস লুট করেছে। এতে করে প্রায় ৬০-৭০ কোটির মতো ক্ষতি হয়েছে।’
এ ছাড়া হামলা ও সংঘর্ষে মোল্লা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হছেন বলেও জানান তিনি। এ সময় তিনি ঘটনার জন্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলেও দাবি করেন।
হামলার সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রাখেনি বলেও অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকেই পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু হামলার সময় তারা দূরে থেকে পরিস্থিতি দেখেছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউসিবি নামের একটি গ্রুপ থেকে হামলার উসকানি ও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ।