কোচিং শিক্ষকের হাতে ধর্ষণের শিকার বরগুনার এক ৪র্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রী। অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্বজনরা। পুলিশ বলছে, ধর্ষক শিক্ষককে ধরতে অভিযান চলছে।
বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলে রাতে শিক্ষার্থীদের পড়ান লতিফ নামের এক ব্যক্তি। ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাড়ি কোচিং থেকে বেশি দূরে হওয়ায় তার বাড়িতে থেকে পড়াশুনার পরামর্শ দেন তিনি। ঘটনার দিন রাতে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে শিশুটিকে ধর্ষণ করে কোচিং শিক্ষক লতিফ।পরদিন সকালে শিশুটিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।এদিকে পরদিন সকাল থেকেই আত্মগোপন করেছে অভিযুক্ত লতিফ। পাথরঘাটা উপজেলার হারিটানা গ্রামে তার বাড়িতে গেলে পরিবারের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বাড়িতে। এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষক ও এলাকাবাসী সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানায়, মামলা করতে দেরি হওয়ায় আসামি পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। তবে তাকে ধরতে তৎপর তারা। গত ৭ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ১১ মার্চ লতিফকে আসামি করে বরগুনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন শিশুটির মা।
শিক্ষকের হাতে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষিত
Share!