ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আদালত নির্দেশ দিলে তাকে সেখান থেকে ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
ভারতের সঙ্গে প্রত্যার্পণ চুক্তি আছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘চাইলে দিতে পারার কথা। কিন্তু একটি আইনি প্রক্রিয়া আছে। আমি জানি না সেটি কীভাবে হবে। এখানে স্পেকুলেট না করাই ভালো। তবে যদি আমাদের লিগ্যাল সিস্টেম চায় তাকে ফেরত আনা হোক, তবে অবশ্যই আমরা চেষ্টা করবো ফেরত আনতে।’
শেখ হাসিনার লাল পাসপোর্ট বাতিল হয়েছে এবং এখন ভারতে তিনি কী হিসাবে অবস্থান করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা বরং ভারতীয়দের জিজ্ঞেস করুন। লাল পাসপোর্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে। এটা ভারতীয়দের জিজ্ঞেস করুন কী স্ট্যাটাসে তিনি সেখানে আছেন।’
গত এপ্রিলে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল কানেক্টিভিটি সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক কোনো চুক্তি নয়। কাজেই আমাদের স্বার্থ ঠিকমতো রক্ষিত হয়েছে কি না সেটি আমরা দেখতেই পারি। সে অনুযায়ী স্বার্থ রক্ষা করে যে চুক্তি করা দরকার সেটি আমরা করবো।’
বাংলাদেশ ভারতের যেসব প্রকল্প আছে সেগুলো এখন পড়ে আছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘যেকোনো বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের পর কিন্তু একটু ক্যাওয়াজ থাকতেই পারে। আমাদের এখানে তো আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একটু সমস্যা ছিল, সেটা অস্বীকার করে লাভ নেই। সেটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছি। ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সবকিছু নরমাল হলে তারা নিরাপত্তা বোধ করবে এবং তারাও আসবে। কারণ চলমান প্রকল্পগুলো তো আমাদের শেষ করতে হবে।’
বাংলাদেশে কাজ করা ভারতীয়রা আতঙ্কের মধ্যে আছেন কি না- এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘এক ধরনের ভীতির মধ্যে আছেন সেটি বলি, আতঙ্ক না বলি। সেই ভীতি থেকে আশা করি তারা বেরিয়ে আসতে পারবেন।’
এ সময় মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো সেটেলমেন্ট হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে তো অভ্যন্তরীণ সেটেলমেন্টই হচ্ছে না, সেখানে আমাদের আমরা এখনই কেন প্রত্যাশা করব?’