রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ নামের এক মুদি দোকানিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য থানা–পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে এ রায় দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী। রায়ে হত্যা মামলাটি রেকর্ড করতে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার আবেদনে আসামি হিসেবে অন্য যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন— আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
এর আগে আজ একই আদালতে মামলাটি নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর ১২টার দিকে আদালত মামলার বাদী এস এম আমীর হামজার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদেশ দেন আদালত।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের নির্বিচারে গুলিতে গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের বছিলায় মুদিদোকানি আবু সায়েদ নিহত হন। এ ছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৫৮০ জনের নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে।
পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।