ঘূর্ণিঝড় রিমালের রেশ কাটতে না কাটতেই তাপমাত্রা বাড়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সংস্থাটি বলছে, আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঢাকায় আজ বৃষ্টি সম্ভাবনা খুবই কম। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়াও দুপুরের পর দেশের অধিকাংশ জায়গায় পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া সারা দেশে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মানিকগঞ্জ ও এর কাছাকাছি এলাকায় আবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্বদিকে আগ্রসর হয়ে বর্তমানে সিলেট ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমেই বৃষ্টি ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে তিনি।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে চাপ বলয় থাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সমুদ্রবন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় জড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
দুর্ঘটনা এড়াতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঢাকা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের নদী অববাহিকায় দক্ষিণপূর্ব-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে এসব এলাকায় নদী বন্দরগুলোতে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা বলেছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পূর্বাভাস জানানো হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বরিশাল ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকায় আজ দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। এটি অস্থায়ী দমকা হওয়া আকারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুরে সর্বোচ্চ ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেটে ২৪৯, ঢাকায় ২২৪, শ্রীমঙ্গলে ২১৭ ও মাদারীপুরে ২০৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এই সময় বান্দরবান ১৭৮, সন্দ্বীপ ১৭৬, গোপালগঞ্জ ১৬৭, ফেনী ও কুতুবদিয়া ১৬২, বরিশাল ১৪৭ ও পটুয়াখালীতে ১৪৫, মোংলা ১৩৭, খুলনা ১২৫ কুমিল্লা ১২২, হাতিয়া ১১২, টাঙ্গাইল ১০৭, মাইজদীকোর্ট ১০৪, মিলিমিটার এবং সাতক্ষীরায় ৯১ ও তাড়াশে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।