বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি। আর এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে জানতে চাইলে সরাসরি কোন মন্তব্য করেননি তারা।

সোমবার (২০ মে) গণতন্ত্রের অবনতি ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণ দেখিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা সাধারণভাবে ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য’ বিবেচিত হবেন।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার (সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ) তৎপরতার কারণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল হয়েছে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কার্যক্রমের ওপর থেকে জনগণ আস্থা হারিয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে)  ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে আজিজ আহমেদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের উপরে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সেনাবাহিনীর বিবেচ্য বিষয় জানিয়ে মন্তব্য এড়াতে চেষ্টা করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন, এটা আর্মির বিষয়। যেহেতু সেনাবাহিনীর বিষয়, এ বিষয়ে আমি এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাই না। যেহেতু সাবেক সেনাপ্রধান, এটি সেনাবাহিনীর বিষয়।

তবে সাবেক এই সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ দেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে যে আগেই জানানো হয়েছিল জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের মিশনকে আগে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ, এটা পাবলিক করার আগে আগে জানানো হয়েছে।

এদিন সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর একই বিষয়ে সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কেন আসছে, কীভাবে আসছে… আজকে একটা বিজ্ঞপ্তি একনজর দেখেছি। এটা আরও ডিটেইল না জানলে মন্তব্য করতে পারব না। আমেরিকান সরকার অনেক দেশে পার্সনাল লেভেলেও এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কাজেই এটা তাদের জন্য নতুন কিছু নয়। আমাদের যাকে দিয়েছেন, সেটা সঠিকভাবে আমাদের হাতে এখনও আসেনি। আসলে বুঝতে পারব যে কেন দিয়েছে।

তবে নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় সাবেক এ সেনাপ্রধান দাবি করেছেন শাস্তি পাওয়ার মতো কোন অপরাধ তিনি করেননি জানিয়ে আজিজ আহমেদ বলেন, যেহেতু বর্তমান সরকারের সময় আমি সেনাপ্রধান ছিলাম। সরকারকেও হয়তো কিছুটা বিব্রত বা হেয় করার জন্য এই রেস্ট্রিকশনটা হতে পারে।