নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে প্রস্তুত মিয়ানমারের পার্লামেন্ট। আজ মঙ্গলবার দেশটিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় পরে এবারই প্রথম কোনো বেসামরিক ব্যক্তি দেশটির প্রেসিডেন্টের পদে বসতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আগামী ১ এপ্রিল থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মিয়ানমারের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ, নিম্নকক্ষ এবং সেনাবাহিনী তিনজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। এঁদের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া হবে দেশটির প্রধান হিসেবে। এই তিনজনের দুজনই বেসামরিক ব্যক্তি। এঁদের মধ্যে হিন কেয়াও বিজয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কেননা অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।গত নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় সু চির দল। তবে পদভার গ্রহণ করতে সু চির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী, কারো সন্তানদের যদি অন্য দেশের নাগরিকত্ব থাকে তাহলে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন না। সু চির সন্তানরা আইনগতভাবে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের নাগরিক। অনেক দেনদরবারের পরেও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি সু চিকে ক্ষমতায় বসাতে পারেনি। তবে মিয়ানমারের এই নেত্রী সব সময়ই বলে এসেছেন, দেশ তিনিই চালাবেন। সেটা প্রেসিডেন্ট হয়ে অথবা ছায়া প্রেসিডেন্ট হয়েই হোক না কেন।প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যাঁরা মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁরা হলেন জাতীয় পরিষদের নিম্নকক্ষ মনোনীত প্রার্থী হিন কেয়াও। ৭০ বছর বয়সী এই লেখক নির্বাচিত সংসদ সদস্য না হলেও অং সান সু চির বন্ধু।একই দলের আরেক প্রার্থী হলেন হেনরি ভ্যান থিও। সংসদের উচ্চকক্ষ মনোনীত এই প্রার্থী একটি আদিবাসী গোষ্ঠীর সদস্য এবং সু চির কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত।তৃতীয় প্রার্থী হলেন দেশটির সেনাবাহিনী মনোনীত মিন্ট সুয়ে। ৬৪ বছর বয়সী এই প্রার্থী একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা।শুধুমাত্র মিন্ট সুয়ে ছাড়া অন্য দুজন নির্বাচিত হলে ৫০ বছরের বেশি সময় পরে কোনো বেসামরিক ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে পাবে মিয়ানমারবাসী।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রস্তুত মিয়ানমার
Share!