পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির ১৪ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। তোশাখানা দুর্নীতি মামলার সাজা স্থগিত করে সোমবার (১ এপ্রিল) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এ রায় দেন।
ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বলেছেন, ঈদের ছুটির পর ১০ দিনের মধ্যে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এর আগ পর্যন্ত ইমরান দম্পতির সাজা স্থগিত থাকবে। খবর আল জাজিরার।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ইমরান ও তার স্ত্রীকে কারাদণ্ড দেন অপর একটি আদালত। রায়ে তাদের ১০ বছরের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনে নিষিদ্ধ এবং প্রত্যেককে ৭৮৭ মিলিয়ন রুপি জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়।
৭১ বছর বয়সী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৪০ মিলিয়ন রূপীর রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি করেছেন তিনি। এ তথ্য তিনি সুকৌশলে গোপনও করেন।
পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন সংস্থা মামলাটি করে। এর বিবরণে বলা হয়, খান ও তার স্ত্রী মিলে বেআইনিভাবে উপহার কেনা এবং বিক্রি করেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা।
একাধিক মামলার রায়ে গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পিটিআইয়ের রাজনীতিবিদ সাইদ জুলফিকার বুখারি বলেন, যেভাবে রাষ্ট্রীয় উপহারের মামলাটি আদালতে অগ্রসর হচ্ছে তার ভিত্তিতে তিনি ইমরানের মুক্তির বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আশা করি, খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্য সব মামলায় এ রায় প্রভাব ফেলবে।’