মাঠের ফুটবলের নান্দনিকতার কারণে ব্রাজিল ফুটবল দলের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। তবে নানান সময়ে নেতিবাচক খবরে বিভিন্ন সময়ে মুখ কালো হয়েছে ব্রাজিল সমর্থকদের। সাম্প্রতিক সময়ে ধষর্ণের অপরাধে জেলে আছেন দানি আলভেজ ও রবিনহো।
তবে শুরু এই দুজন নয়, এর আগে অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে আলোচনায় আছেন রোনালদিনহো ও আদ্রিয়ানোও। এ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হচ্ছে ব্রাজিল তারকাদের কলঙ্কিত এমন কিছু ঘটনা। তালিকার শুরুতেই আসে দানি আলভেজের নাম। স্পেনের একটি নাইট ক্লাবে এক নারীকে ধষর্ণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
তাকে অবশ্য দ্রুতই গ্রেপ্তার করে বার্সেলোনার পুলিশ। এক বছরের বেশি তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে গত মাসে তাকে কারাদণ্ড দেয় স্পেনের আদালত। পাশাপাশি জরিমানা করা হয় দেড় লাখ ইউরোর। ধর্ষণ কাণ্ডে ব্রাজিল ফুটবলকেও কলঙ্কিত করেছেন তিনি।
একই অপরাধে নাম লেখিয়ে ব্রাজিলের ফুটবলে কালি মেখেছেন সাবেক স্ট্রাইকার রবিনহো। ধর্ষণের দায়ে এই ফুটবলারকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ইতালির আদালত। পরে ব্রাজিলের আদালতও সেই সাজা কার্যকরের নির্দেশ দেয়।
গত বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করে ব্রাজিলের পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালে মিলানে এক আলবেনিয়ান নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন তিনি। রায়ের আগে ইতালি ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন রবিনহো। ব্রাজিল সরকারকে শাস্তি কার্যকরের আহ্বান জানায় ইতালির আদলত।
বর্তমান সময়ে অনেক সম্ভাবনাময় এক তারকা অ্যান্তনি। তবে বিতর্কিত এক কর্মকাণ্ডে শঙ্কায় পড়েছিল এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের ক্যারিয়ারও। গত সেপ্টেম্বরে তার বিরুদ্ধে সাবেক প্রেমিকা নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এতে ব্রাজিলের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েন তিনি।
সে সময় ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন-সিবিএফ জানিয়েছিল তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের পর জাতীয় দলে ফেরানো হবে অ্যান্তনিকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ব্রাজিলের স্কোয়াডে ফেরানো হয়নি তাকে।
সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার রোনালদিনহো। ২০০২ সালে বিশ্বকাপের জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। তবে পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে জেল খাটতে হয়েছে ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে। ২০২২ সালে জাল পাসপোর্ট বহনের অভিযোগে প্যারাগুয়েতে গ্রেপ্তার হন তিনি। এ মামলায় ৩২ দিন জেলে খাটতে হয় রোনালদিনহোকে।
আদ্রিয়ানোকে ধরা হতো সবচেয়ে প্রতিভাবান স্ট্রাইকার হিসেবে। ব্রাজিলের জার্সিতে ৪৮ ম্যাচ খেলা এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে মাদক পাচারের। ২০১০ সালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের দাবি ছিল মাদক চোরাকারবারিকে বাইক কিনে দেন আদ্রিয়ানো। পরে সেই বাইক মাদক চোরাচালানের উদ্দেশ্যে ব্যবহারও করে অপরাধীরা। ২০১৪ সালে এ মামলা থেকে মুক্তি পান আদ্রিয়ানো।