পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে রোববার। এদিন সকাল ৮টা থেকে পূর্বাঞ্চলের এবং দুপুর ২টা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর সব ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কেনা যাবে। যা চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। আগামী ১১ এপ্রিল ঈদের দিন ধরে টিকিট বিক্রি শুরুর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঈদে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। কালোবাজারি রোধে সহজ ডটকম যেন টিকিট ব্লক করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, আগামী ৩ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৫ মার্চ, ৫ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৬ মার্চ, ৬ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৭ মার্চ, ৭ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৯ মার্চ ও ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ।
সার্ভারের ওপর চাপ কমাতে রেলের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা সময়ে বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে আর দুপুর ২টায় পশ্চিমাঞ্চলে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, টিকিট বিক্রি শুরুর পর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। সার্ভার ডাউনের কারণে সাইটে প্রবেশ করা যায় না। এগুলো সব সত্যি। এ টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে একটি সিন্ডিকেট জড়িত। যাদের সঙ্গে সহজের লোক ও আমাদের রেলের লোকও জড়িত। ইতোমধ্যে আমরা দুটি সিন্ডিকেটকে ধরে আইনের আওতায় এনেছি। ঠিকমতো টিকিটিং ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য সহজকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারি বন্ধে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে শুক্রবার কারসাজির মাধ্যমে সারা দেশে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্র ‘ঢালী সিন্ডিকেটের’ মূলহোতা মিজান ঢালী এবং সহজ ডটকমের এক কর্মকর্তাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় র্যাব উদ্ধার করে বিপুল পরিমাণে ট্রেনের টিকেট, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও জাতীয় পরিচয়পত্র।
মিজান ঢালী ও সার্ভার অপারেটর নিউটন বিশ্বাসসহ ওই ৯ জন ট্রেনের আগাম টিকিট কেটে দ্বিগুণ মূল্যে কালোবাজারি করে বিক্রি করত বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব বলছে, মূলহোতা মিজানের নেতৃত্বে এই চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় সব ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল। ঢালী সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টিকিট কেটে নিত। আর এবারের ঈদের সময়ে তা হাজারে নেওয়ার টার্গেট ছিল।