পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায়। আমরাও চাই তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করতে। যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে অনেক প্রজেক্ট ইতিমধ্যে আমাদের দেশে নেওয়া আছে, সেটি কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
রোববার (২৫ ফ্রেবুয়ারি) বিকেলে ঢাকায় সফররত মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখারের নেতৃত্বে দেশটির একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন দেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী। পণ্য রপ্তানির বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। তারা আমাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন যুগ সৃষ্টিতে কাজ করতে চায়। সামরিক সহযোগিতা, অস্ত্র চুক্তি, জিসোমিয়া নিয়েও তারা ইতিবাচক। তবে এ বিষয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সরকারি বাহিনীর সংঘাতের কারণে যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংকট তৈরি হচ্ছে, বৈঠকে সেটা তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। আমরা মনে করি, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান। এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত। তারা যেন মিয়ানমারের ওপর বাড়তি চাপ অব্যহত রাখে, সেই আহ্বানও জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে বাংলাদেশর পক্ষ থেকে গাজায় গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার ইস্যুতে কোন আলাপ হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।
‘এছাড়া র্যাবের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৫টি পর্যবেক্ষণ রয়েছে। তবে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। তারা মূল সংস্থাকে এটি দেবে,’ বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এইলিন লুবাখার বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কথা হয়েছে। অভিন্ন ভাগ্য গড়তে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে চায়।