সম্প্রতি এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় ২২টি নামিদামি প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা এখন ডিবির হাতে। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। আজ রবিবার দুপুরে ডিএমপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। মনিরুল ইসলাম বলেন, এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় ২২টি নামিদামি প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে ডিবির হাতে। তবে এখনো দালিলিক কোনো প্রামাণ না পাওয়ায় তাদের ধরা হচ্ছে না। শতভাগ নিশ্চিত হয়েই তাদের ধরা হবে। তিনি বলেন, অবশ্য এ ঘটনায় জড়িত থাকা সাতটি প্রতিষ্ঠানের দালিলিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে তারা অখ্যাত। তাদের শিগগিরই ধরা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি ইউসিবিএল, সিটি ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। পরে গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা পায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এরপর এ বিষয়ে বনানী থানায় ব্যাংকগুলো মামলা করে। পরে মামলার তদন্ত হাতে নেয় ডিবি পুলিশ। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে জালিয়াতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মনিরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো সহযোগিত চাওয়া হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে। চাইলেই সে ক্ষেত্রে তদন্ত করবে পুলিশ।
ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম সংগ্রহের বিষয়ে পুলিশের এ মুখপাত্র বলেন, ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম সংগ্রহের শেষ সময় ১৫ মার্চ বলা হলেও সার্বিকভাবে দেখেশোনে মনে হচ্ছে এর মধ্যে তা সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে হয়তো সময় বাড়িয়ে পুরো মাসটি তথ্য সংগ্রহ করা হতে পারে। ভাড়াটিয়াদের এসব তথ্য মিসইউজ হতে পারে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি এগুলোর হার্ডকপি খুবই গোপনভাবে রাখা হবে। সে ক্ষেত্রে কোনো মিসইউজ হবে না। রাজধানীবাসীর নিরপত্তার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস।