বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যারের ক্রমবর্ধমান অপব্যবহার বন্ধ করা এবং সেসব নজরদারি সরঞ্জাম কেনাবেচার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) স্টেট ডিপার্টমেন্টের দেওয়া বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেসব দেশ স্পাইওয়্যারের অব্যবহার করে নাগরিকদের নির্বিচারে আটক, জোরপূর্বক গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনায় জড়িত- সেসব ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতি আরও বলা হয়, বিশেষ করে যারা স্পাইওয়্যার প্রযুক্তি ব্যবহার করে দমনপীড়ন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ সীমিত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত এবং বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যারের অপব্যবহার করে নাগরিকদের গোপনীয়তা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ভিন্নমতাবলম্বী হুমকির মুখে ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেন, যারা বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যারের অপব্যবহার করে— সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, ভিন্নমতাবলম্বী এবং অন্যান্যদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে তাদের নির্বিচারে আটক, হয়রানি এবং বেআইনিভাবে নজরদারি করছে, দমন বা ভয় দেখানোর মতো ঘটনায় জড়িত, সেসব ব্যক্তি ও তাদের নিকটবর্তী পরিবারের সদস্যদের (স্বামী/স্ত্রী এবং যেকোনো বয়সের সন্তান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে), এই ভিসানীতির আওতায় তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
এই নিষেধাজ্ঞাটি ২০২২ সালের মার্চের একটি নির্বাহী আদেশ অনুসরণ করে করা হচ্ছে। এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে, মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপ, প্রাইভেট ইক্যুইটি-কোম্পানিকে এই অপরাধে কালো তালিকাভুক্ত করে।