আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় ক্ষত সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্রে সফল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এবারের নির্বাচনে ৪১ ভাগেরও বেশি জনগণ ভোট দিয়েছে। ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। আমরা দেশের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ, তারা কারও অগণতান্ত্রিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে থাকেনি। আওয়ামী লীগের অঙ্গীকারে জনগণ সাড়া দিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ইতিহাস ডিঙিয়ে তারা (বিএনপি) যে বিকৃত তথ্য বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর অপপ্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল তাদের সে অপচেষ্টা সফল হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশে-বিদেশে সসম্মানে উচ্চারিত একটি নাম।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খানের উদ্দেশে তিনি বলেন, মঈন খান সাহেবদের দল ’৭৫-র বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে তারপর ৩ নভেম্বর, একুশে আগস্টে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে হামলার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকার, আল বদরের দল। গর্হিত বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঈন খানকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
এ সময় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, অনেক কিছু সহ্য করেছি। আক্রান্ত হয়েও আক্রমণ করিনি। কোনো অপশক্তিকে দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। কোনো অপকর্মের সুযোগ নেই। কালো পতাকার নামে আবার সন্ত্রাস-সহিংসতার আভাস দিচ্ছে বিএনপি। বিএনপির সাথে কোনো আপস নয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।