পোশাক খাতে কোনো দেশ নিষেধাজ্ঞা দিলে তারাও সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার পর রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে ছয়টি নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, এবারের ভোটে কোনো গণ্ডগোল চাই না, যে যাকে খুশি ভোট দেবেন। ভোট অনেক জরুরি। ভোটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। ভোটের মাধ্যমে বিএনপির দুর্বৃত্তায়নের জবাব দিতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল খালেদা জিয়া। থাকতে পারেনি। ভোট চুরি করলে জনগণ মেনে নেয় না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার পতন ঘটে। ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়। তারপর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ওদের শিক্ষা হয়নি। তাই আবারও ২০০১ সালে ভোট কারচুপি, ভোট চুরি, জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা শুরু করে। তাদের দুঃশাসনের কারণে দেশে ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা জারি) হয়।
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে আমি যখন গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হইনি, তখন ষড়যন্ত্রের শিকার হই। ক্ষমতায় আসতে পারেনি। গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় বিএনপি-জামায়াত জোট আসে। ক্ষমতায় এসেই তারা দুর্নীতি লুটপাত, জঙ্গিবাদ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অকাট্য নির্যাতন শুরু করে। তাদের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে চলে যায়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও আরেক দিকে তারেক যে হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলে। ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করে। যার ফলে দেশে চরম অরাজকতার সৃষ্টি হয়। তারা জানত জনগণ তাদের ভোট দেবে না প্রত্যাখ্যান করবে, তখন তারা এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট তৈরি করে। সেভাবে নির্বাচন করার প্রচেষ্টা নেয়। সেখানে তারা ব্যর্থ হয়।
কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর এবং ইউনিয়ন,ওয়ার্ড নেতারা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকার দল মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত রয়েছেন।