এবার ইসরায়েলের বন্দরে হামলা হয়েছে। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা দেশটির বন্দর নগরী এইলাতে এ হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) আলজাজিরারর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হুতিরা জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের বন্দর নগরী এইলাতকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। একই সময়ে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা করা হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শেষ করার জন্য চাপ দিতে এমন হামলা করা হয়েছে বলে দাবি দলটির।
হুতির সামরিক বিভাগের মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি বলেন, তারা এইলাত শহর ছাড়াও ফিলিস্তিনের অধিকৃত বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এছাড়া লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ এমএসসি ইউনাইটেড ভেসেলেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছে। জাহাজটিকে তিনবার সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও তা প্রত্যাখ্যান করায় এ হামলা করা হয়েছে।
শিপিং কোম্পানি এমএসসি জানিয়েছে, এমএসসি ইউনাইটেড-৮ জাহাজটি সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ বন্দর থেকে পাকিস্তানের করাচি যাচ্ছিল। মঙ্গলবার এ জাহাজটিতে হামলা হয়েছে। তবে হামলার পরও জাহাজের সব ক্রুরা অক্ষত রয়েছেন।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা জাহাজে হামলার ঘটনাটি মূল্যায়ন করছে এবং লোহিত সাগরের নিরাপত্তায় গঠিত মার্কিন জোটকে বিষয়টি অবহিত করেছে।
এর আগে গত অক্টোবরে ইসরায়েলের এ শহরে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইয়েমেনের হুতিরা। ওই সময়ে গাজায় ইসরায়েলে হামলার প্রতিশোধে এ হামলার করা জানায় গোষ্ঠীটি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার তারা লোহিত সাগরে ১২টি ড্রোন ও পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা চালিয়ে আসছে বলে দাবি দেশটির।
অন্যদিকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমান একটি বেনামী ড্রোন ধ্বংস করেছে। ড্রোনটিও লোহিত সাগরের ওপর দিয়ে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল বলেও দাবি তাদের।
এক বিবৃতিতে ইউএস সেন্টকম জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী সক্ষমতার ইউএসএস ল্যাবুন এবং আইজেনহাউয়ার এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের এফ-১৮ ফাইটার বিমান এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ভূপাতিত করেছে। এ সময়ে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র, তিনটি জাহাজ বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও দুটি ক্রুজ মিসাইল ভূপাতিত করা হয়। গত ১০ ঘন্টার মধ্যে হুতিরা এসব হামলা চালিয়ে আসছে।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, হুতিদের ছোড়া এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এমনকি এ সময়ে জাহাজেরও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।