একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় বহালের প্রতিবাদে দেশব্যাপী জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে স্বাভাবিক রয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জনজীবন। হরতাল শুরুর পর থেকে নগরীতে স্বাভাবিকভাবেই গণপরিবহন চলাচল করছে। অফিস-আদালত, কলকারখানায় যেতে রাস্তায় নেমেছেন কর্মজীবী মানুষ। দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। তবে হরতালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ আছে। আজ বুধবার ভোর ৬টা থেকে হরতাল শুরুর পর এ পর্যন্ত নগরী কিংবা জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের মিছিল-সমাবেশ, পিকেটিংয়ের খবরও পাওয়া যায়নি। তবে নগরী ও জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বাবুল আক্তার বলেন, হরতালে নাশকতা মোকাবেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হরতাল চললেও নগরজীবনে এর কোন প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। এছাড়া এখনো পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সূত্রমতে, নগরীতে অতিরিক্ত প্রায় দেড় হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত এক হাজার পুলিশ মোতায়েন আছে। এদিকে হরতালে স্বাভাবিক রয়েছে দূরপাল্লার যান চলাচল। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম দেখা গেছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। একাত্তরে হত্যা-গণহত্যার দায়ে আলবদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষনেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় বহালের প্রতিবাদে বুধবার এ হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।