একাত্তরে হত্যা-গণহত্যার দায়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় বহালের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে ঢিলেঢালা ভাবে। আজ বুধবার ভোর ৬টা থেকে হরতাল শুরু হয় এবং বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। প্রতিটি সিগনালে থেমে থাকতে দেখা যায় যানবাহনের সারি। সকালে রাজধানীর আজীমপুর, প্রেসক্লাব, পল্টন, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালী, বনানী, বিশ্বরোড, খিলক্ষেত, জসীম উদদীন, রাজলক্ষী, উত্তরা, আব্দুলাপুর এলাকা ঘুরে রাস্তায় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও গণপরিবহণসহ প্রায় সব ধরনের যান চলাচল করতে দেখা যায়। তবে তা তুলনামূলক কিছুটা কম।
এ সময় যাত্রী, শ্রমজীবী মানুষ, অফিসগামী কর্মব্যস্ত মানুষকে যার যার মতো গন্তব্যে ছুটতে দেখা যায়। এমনকি কোথাও কোনো মিছিল বা মিটিংও চোখে পড়েনি। তেজগাঁও জোনের ট্রাফিক সার্জেন মো. আশরাফ জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সড়কে হরতালের কোনো প্রভাব নেই। কাউকে সন্দেহ হলে আমরা তল্লাশি করছি। হরতালে বিজয় সরণি এলাকায় দায়িত্বরত তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রমজান বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজধানীর অলিগলিতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
এর আগে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগে বহাল থাকার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দেশব্যাপী এই হরতাল ডাকে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে এ হরতালের ডাক দেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে ও তার মুক্তির দাবিতে ৯ মার্চ বুধবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করছি।