ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদের দ্বন্দ্বের জেরে ইউক্রেনের জন্য অর্থ সহায়তার অনুমোদন দিতে পারছে না মার্কিন কংগ্রেস। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ সহায়তার অভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার কাছে পরাজয়ের ‘বড় ঝুঁকি’ দেখছে ইউক্রেন। খবর রয়টার্সের।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক বলেছেন, মার্কিন সহায়তা স্থগিতের কারণে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার কাছে হেরে যাওয়ার বড় ঝুঁকি তৈরি করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে সহায়তা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে কোনো ধরনের রাখঢাক ছাড়াই এমন মন্তব্য করলেন তিনি।
অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক বলেন, যদি সহায়তা স্থগিত হয়ে যায় তাহলে বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে আমরা যেখানে আছি সেখানেই পড়ে থাকব। অবশ্যই এ কারণে অব্যাহতভাবে অধিকৃত অঞ্চল মুক্ত করা অসম্ভব হবে। এই যুদ্ধে হেরে যাওয়ার বড় ঝুঁকি সৃষ্টি হবে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে ১১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। তবে গত জানুয়ারি মাসে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের হটিয়ে রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন থেকে কিয়েভের জন্য আর কোনো তহবিল অনুমোদন দেয়নি কংগ্রেস।
গত অক্টোবরে কংগ্রেসের কাছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেন, ইসরায়েল ও মার্কিন সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের জন্য প্রায় ১০৬ বিলিয়ন ডলারের বরাদ্দ চায়। তবে রিপাবলিকানদের বাধায় তা কংগ্রেসে পাস হয়নি।
গত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক চিঠির মাধ্যমে হোয়াইট হাউসের বাজেট পরিচালক শালান্দা ইয়াং মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ও রিপাবলিকান নেতা মাইক জনসন ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার মতো সময় ও অর্থ—কোনোটাই যুক্তরাষ্ট্রের নেই।