গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য প্রস্তাবিত নিম্নতম মজুরি ও মজুরির সাথে যুক্ত অন্যান্য বিষয় পুনর্বিবেচনার জন্য দাবি জানিয়েছে এশিয়া ফ্লোর ওয়েজ অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ জোট (এএফডব্লিউএবি)।
সোমবার (২০ নভেম্বর) এক সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্বে গার্মেন্টস পণ্যের বাজার ৬৫৩ বিলিয়ন ডলারের। বাংলাদেশ সেখানে ৭.৯ শতাংশ রপ্তানি করে। শ্রমিকদের মজুরি অন্যান্য সব দেশেই বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। অন্যান্য দেশের সাথে তুলনাতেও বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি যৌক্তিক হওয়া উচিত। মজুরি নির্ধারণের মাপকাঠি বিবেচনা, বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার জরিপ ও অর্থনৈতিক হিসাব, অর্থনীতিতে গার্মেন্টেসের অবদান, শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বিবেচনায় এই মজুরি খুবই অপ্রতুল। এই মজুরি শ্রমিকদের মনে বঞ্চনার অনুভূতি তীব্র করবে। তা বিক্ষোভের মনোভাব সৃষ্টি করবে। শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও শিল্পের স্বার্থে মজুরি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান তারা।
বক্তারা বলেন, শিক্ষানবিশ পদে একজন শ্রমিককে বছরের পর বছর রেখে ঘোষিত নিম্নতম মজুরি অনুযায়ী বেতন না দিয়ে ওই শিক্ষানবিশ পদের ঘোষিত মজুরি প্রদান করা হয়। আমরা নতুন মজুরি কাঠামোতে ৫টি গ্রেডের বাইরে মালিকদের মুনাফার স্বার্থে প্রণীত শিক্ষানবিশকাল পদটি বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়েছি। মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট হিসাব করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনের ধারণা ভেঙে দিয়ে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে সরকারি হিসাবে। নতুন মজুরি কাঠামোতে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করে প্রতি বছর মজুরি পুনর্নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছি।