আগামী ১ নভেম্বর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত নির্মিত নতুন রেলপথ দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। শুরুতে নির্ধারণ করা ভাড়া কমিয়ে এ যাত্রাপথের টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১০টা থেকে অনলাইন ও অফলাইনে এ ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ নভেম্বর থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং ২ নভেম্বর থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস নতুন রুট (খুলনা-পোড়াদহ-কুষ্টিয়া কোর্ট-রাজবাড়ি-ফরিদপুর-পদ্মা সেতু-ঢাকা কমলাপুর) দিয়ে যাতায়াত করবে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটার দূরত্বে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মেইল ট্রেনে ৮০ টাকা, কমিউটার ট্রেনে ১০০ টাকা, শোভন চেয়ার ২৩০ টাকা, এসি চেয়ার ৪৪৩ টাকা, এসি সিট ৫২৯ টাকা এবং এসি বার্থ ৭৯৪ টাকা।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, ‘গতকাল থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ভাড়া কমানোর পর যেটি নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই ভাড়াতেই টিকিট বিক্রি হচ্ছে।’
খুলনা রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. মাসুদ রানা বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। নতুন এই রুটে যাত্রীদের আগ্রহও বেশি। এরইমধ্যে পদ্মা সেতু পার হয়ে ঢাকায় ট্রেনে যাত্রা করার জন্য খোঁজ নিতে শুরু করেছেন যাত্রীরা।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে গার্মেন্টসহ রপ্তানি পণ্য পরিবহনে সুবিধা বেড়েছে। রেল যোগাযোগ চালু হলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি আরও বাড়বে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় গত এক বছরে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি বেড়েছে দ্বিগুণ। ট্রেনে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি কম খরচে মালপত্র বহন করা যাবে। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন শাকসবজি, ফুল ও মাছ দ্রুত সময়ে ঢাকায় পৌঁছানো গেলে উপকৃত হবেন লাখ লাখ কৃষক। বদলে যাবে মানুষের জীবনযাত্রা।