প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। তবে, তারা কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি করলে ছাড় দেওয়া হবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কুমিল্লার লাকসামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের রাজনীতিতে বাধা দেব না এবং বাধা দিচ্ছি না। তবে, তারা যদি আবার রেলে আগুন দেয় বা জনগণের কোনো ক্ষতি করে, তাহলে তারা রেহাই পাবে না।’
নবনির্মিত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের মাধ্যমে ৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটটি ডাবল লাইনে পরিণত হয়েছে। এতে এই রুটে ভ্রমণের সময় ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার সাশ্রয় হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই রুটের সর্বত্র ক্যামেরা থাকবে এবং যেকোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অপরাধীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে।
বিএনপি ও জামায়াতকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা ধ্বংস করতে জানে, কিন্তু তারা জানে না কীভাবে কিছু তৈরি করতে হয় বা জনগণের সেবা করতে হয়। তারা জানে কীভাবে লুট করতে হয়, কীভাবে দুর্নীতি করতে হয় এবং নিজেদের লাভ করতে হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে রক্ষা পেতে দেশের জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা চাই তাদের হাত থেকে দেশ রক্ষা পাক।’
লাকসাম থেকে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম (লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সংসদ সদস্য), আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক (আখাউড়া-কাশবা আসনের সংসদ সদস্য) এবং বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর।