বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধনে ‘আঙ্গুলের ছাপ’ ব্যবহারকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। যে প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন হচ্ছে তাতে গ্রাহকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।
প্রযুক্তিবিদরাও তাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেও এরূপ শঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছে সরকার।
বায়োমেট্রিক প্রকল্পের সফলতায় বিচলিত হয়ে স্বার্থান্বেষী একটি মহল অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালিয়ে এটি ভেস্তে দিতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধনের জন্য সরকারের বেঁধে দেয়া সময় শেষ হতে বাকি আর মাত্র দেড় মাস। স্বল্প এ সময়ের মধ্যে নিজেদের সিম নিবন্ধনে কাস্টমার কেয়ারসহ নির্ধারিত স্থানগুলোতে তাই ভিড় করছেন গ্রাহকরা।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই কার্যক্রমের প্রথমদিকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া গেলেও সেই জোয়ারে কিছুটা ভাটা ফেলেছে ফেইসবুকসহ সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হওয়া ‘আঙ্গুলের ছাপ’ বিতর্ক। যে প্রক্রিয়া ও যাদের মাধ্যমে এ কাজ সম্পন্ন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেউ কেউ বলছেন, এর মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
তাদের এই শঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রযুক্তিবিদরাও। তবে গ্রাহকদের প্রকৃত পরিচয় শনাক্তে নেয়া আঙ্গুলের এসব ছাপ সংরক্ষণ করা হচ্ছেনা বলে জানিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন ‘অ্যামটব’।
এদিকে, গ্রাহক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই সিম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলছেন, একটি গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য সুপরিকল্পিতভাবেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বাংলাদেশ ছাড়া বর্তমানে পাকিস্তান ও সৌদি আরবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করা হচ্ছে।