প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সার্বিকভাবে সুশৃঙ্খল ও আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনায় আনুমানিক ৪৫ শতাংশ এবং বরিশালে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট কাস্ট হয়েছে।
সোমবার বিকেলে দুই সিটির ভোটগ্রহণ শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি। এদিকে বরিশালে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও এসময় জানান সিইসি।
এর আগে, দুপুরে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান বলেন, বরিশাল ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে কারো পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি।
তিনি আরো বলেন, ইভিএমের ছোটখাটো ত্রুটি ছাড়া নির্বাচনে তেমন কোনো অভিযোগ নেই। এছাড়া নির্বাচন কমিশন থেকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৩১০টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ২৮৯টি কেন্দ্র মনিটরিং করা হচ্ছে। আর বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১১৪৬টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ১২৬টি কেন্দ্র মনিটরিং করা হচ্ছে।
আহসান হাবিব খান বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) যান্ত্রিক ত্রুটি হতেই পারে। তবে বিকল্প মেশিন রাখা আছে, তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে।
সোমবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। বরিশাল ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। তাদের বেশির ভাগই নারী। এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন তরুণ ভোটাররা। এদিকে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এবারই প্রথম খুলনা ও বরিশাল সিটির সব কেন্দ্রে ভোট নেয়া হয় ইভিএমে। প্রতিটি কেন্দ্রে ছিল কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। এছাড়া সিসি ক্যামেরায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি মনিটরিং করেন কর্মকর্তারা।