২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্য ও সেবায় বাড়তি কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সেসব পণ্য ও সেবার দাম বাড়তে পারে।
প্রস্তাবিত বাজেটে সব কটি স্তরে সিগারেটের মূল্যস্তর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবও করা হয়েছে। ফলে সিগারেটের দাম বাড়তে পারে।
তবে বাজেট প্রস্তাবে বিড়ির ওপর নতুন করে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়নি। সে কারণে তামাকজাত এই পণ্যটির দাম না-ও বাড়তে পারে।
প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট থেকে বাড়তি ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকাল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এবার অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যের প্রতিপাদ্য ‘উন্নয়নের দেড় দশক: স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন জাতীয় সংসদে অনুমোদন হবে এবং ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর প্রস্তাবিত বাজেট প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
গত ৩১ মে অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের মূল দর্শন ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। বাজেটটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে প্রথম বাজেট। আর স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং স্মার্ট অর্থনীতি—এ চার মূল স্তম্ভের ওপর।
প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।