গ্রুপ অফ সেভেনের (জি-সেভেন) সদস্য ধনী গণতান্ত্রিক দেশগুলো এই বছরের জি সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞারোপ করেছে। তাদেরকে এড়িয়ে যারা রাশিয়াকে সহায়তা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো, ইউক্রেনে যুদ্ধে অর্থায়নে মস্কোর ক্ষমতাকে আরও ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করা।
বাইডেন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই গ্রুপটি জাপানের হিরোশিমাতে অনুষ্ঠেয় এই বছরের বৈঠকে আরও শত শত নিষেধাজ্ঞা এবং রফতানি নিয়ন্ত্রণমূলক বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ জি-সেভেন জোটের দেশগুলো রাশিয়ার যুদ্ধাস্ত্র, লাভজনক হীরা বাণিজ্য এবং ইউক্রেন আক্রমণের সাথে যুক্ত আরো কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে শুক্রবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এর আগে ধনী দেশগুলোর সংগঠন জি-সেভেন এর নেতারা জাপানের হিরোশিমায় রাশিয়ার বার্ষিক চার থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের হীরার বাণিজ্য নিয়ে বৈঠক করেন। জি-সেভেন জোটের সদস্য দেশগুলো হলো- জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র।
বাইডেন প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা বলেন, কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাগুলোর আওতায় থাকছে ৭০টি রুশ ও তৃতীয় কোনো দেশের প্রতিষ্ঠান, যেগুলো মস্কোর প্রতিরক্ষা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো, এর আগের ৩০০ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বিমান ও জাহাজের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বাইরে। অন্য জি-সেভেন দেশগুলোও এ সপ্তাহে তাদের পদক্ষেপ ঘোষণা করতে যাচ্ছে।
এই কর্মকর্তা জানান, পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে; যুদ্ধের জন্য সরঞ্জাম এবং রসদ সংগ্রহ সংক্রান্ত রাশিয়ার সক্ষমতাকে আরো ব্যাহত করা; নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর ফাঁকগুলো বন্ধ করার জন্য কাজ করা এবং রাশিয়ার জ্বালানির ওপর ইউরোপের নির্ভরতা হ্রাসের জন্য পদক্ষেপ নেয়া।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় রাশিয়ার প্রবেশাধিকার সীমিত করার জন্য আরো প্রচেষ্টা চালাবে জি-সেভেন এবং রাশিয়ার একক মালিকানার সম্পদ জব্দ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করবে।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, মূল কথা হলো, আমরা রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করছি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শীর্ষ সম্মেলনে জি-সেভেন নেতাদের সাথে যে কোনোভাবে যুক্ত হবেন।