রমজান মাসের প্রতিটি ক্ষণ মুসলিম উম্মাহর জন্য মহামূল্যবান। পবিত্র রমজানের প্রতিটি মুহূর্তই রহমত বর্ষণ হয়। সবচেয়ে বেশি রহমত থাকে রমজানের শেষ দশ দিন। এই ১০ দিনের মধ্যেই রয়েছে পবিত্র শবে কদর। এ সময়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ আমল করার আছে।
পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন ক্ষমা লাভের আর শেষ ১০ দিনে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির।
এ জন্য আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এবং রাসুল (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিনের প্রতি অনেক গুরুত্বারোপ করেছেন। সেই সঙ্গে নানা নফল ইবাদত দিয়ে শেষ ১০ দিনকে সমৃদ্ধ করেছেন।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ নিজের ফেরিভাই ফেসবুক আইডিতে রমজানের শেষ দশ দিনের ১০টি আমল উল্লেখ করে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া শায়খ আহমাদুল্লাহ’র পোস্টটি তুলে ধরা হলো।
রমজানুল কারিমের শেষ ১০ দিনের ১০টি মাসনুন আমল-
১. রমজানের সাধারণ আমলগুলো এই দশকে আরও বেশি গুরুত্বের সঙ্গে সম্পাদন করা।
২. ইতিকাফ করা।
৩. ইবাদতের জন্য রাত্রিজাগরণ করা।
৪. পরিবারের সদস্যদের রাত্রিজাগরণে উদ্বুদ্ধ করা।
৫. কোমর বেঁধে ইবাদতে মশগুল হওয়া বা ইবাদতের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা।
৬. অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে ইবাদতের জন্য অধিক পরিমাণ সাধনা করা।
৭. প্রতি রাতে; বিশেষ করে বেজোড় রাতগুলোতে শবে কদরের আশায় ইবাদত করা।
৮. শবে কদরের দোয়া পড়া। আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি।
৯. ঈদের চাঁদ অনুসন্ধান করা ও চাঁদ দেখার দোয়া পড়া।
১০. সাদকাতুল ফিতর আদায় করা।
সহিহ বুখারি শরিফের একটি হাদিসে রোজার শেষ দশদিন সম্পর্কে আয়েশা (রা.) বলেছেন, শেষ দশদিন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নবীজি (সা.) ইবাদতে ব্যস্ত থাকতেন এবং পরিবারের সদস্যদের ও সারারাত জেগে ইবাদত করতে বলতেন।
আল্লাহ আমাদের রমজানে শেষ ১০ দিনে আমল সঠিকভাবে করা সক্ষমতা দান করুন। আমিন।