শারদীয় দুর্গা উৎসব উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ৯ দিনে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ৫১৬ মেট্রিক টন। এদিকে নতুন করে দুই দফায় আরও ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিক টন করে ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হবে মোট দুই হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানির এই আদেশ কার্যকর থাকবে।
এদিকে, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সরকারি ছুটি, শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্বকর্মা পূজায় ভারতীয় ছুটি ও রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র মাছ গ্রহণ না করায় টানা তিন দিন বন্ধ থাকবে ইলিশ রপ্তানির কার্যক্রম।
বেনাপোল স্থলবন্দর ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুুবুর রহমান জানান, ইলিশ রপ্তানির ২০২১-২০২৪ এর নীতিমালা অনুযায়ী দুই দফায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিক টন করে ৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ৫১৬ মেট্রিক টন। এর মধ্যে এক দিনের সরকারি ছুটি ছিল। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানির এই আদেশ কার্যকর থাকবে। বেশিরভাগ ইলিশ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হবে বলে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে।
ইলিশ মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অর্পিতা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক বিশুদানন্দা আচার্জী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথম দফায় ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ও পরে আরো ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেন। এবার ভারতে দুই হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হবে। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানিমূল্য ১০ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ৯৪৮ টাকা। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করানো হচ্ছে। ইলিশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ৫৯টি।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া জানান, ইলিশ দ্রুত রপ্তানির জন্য কাস্টমসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।