চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বটি দিয়ে কুপিয়ে খুরশিদ আলম (৪০) নামে এক সিএনজি চালককে খুন করা হয়েছে।শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার পৌর সভার ২নংওয়ার্ড় পন্তিছিলায় এলাকায় এই খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত খুরশিদ আলম পৌর সভার ২নংওয়ার্ড় পন্তিছিলায় এলাকার নুর মিয়া ড্রাইভারের পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার ৮টার দিকে তিন সন্তানকে নিয়ে ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেন খোরশেদ ও তার স্ত্রী। একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করে সন্তানদের বাড়ি নিয়ে আসেন খোরশেদ। তাদেরকে ঘরে রেখে প্রাইভেট কারের ভাড়া পরিশোধ করতে বাইরে যান তিনি। এ সময় আরাফাতের ঘরের সামনে থেকে কারটি ঘুরাচ্ছিলেন চালক। তখন আরাফাত চালককে তার ঘরের সামনে গাড়ি ঘোরাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে খোরশেদের সঙ্গে আরাফাতের সামান্য কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এরপর আরাফাত তার ঘরে চলে যায়। কিন্তু একটু পরেই সে ঘর থেকে একটি বটি নিয়ে এসে খোরশেদ আলমের ঘাড়ে কোপ দিয়ে বটি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। খোরশেদ আলম বটিটি নিয়ে ঘরের দিকে কিছুদূর এসে চিৎকার করলে তার ভাই ও প্রতিবেশীরা এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু যাওয়ার পাথে তার মৃত্যু হয়। তবে আরাফাত মানসিক ভারসাম্যহীন বলে এলাকাবাসীরা জানান। সে কথায় কথায় মানুষকে হত্যার হুমকি দিত।
প্রাইভেটকারের চালক জসিম বলেন, আরাফাত গাড়ি ঘোরাতে নিষেধ করলে তার উগ্র মেজাজ দেখে আমি প্রথমে পিছনে চলে আসতে চাই। তখন খোরশেদ আমাকে সেখান থেকেই গাড়ি ঘোরাতে বললে আরাফাতের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে অতর্কিত এসে আরাফাত খোরশেদকে পিছন থেকে ঘাড়ে কোপ দেয়।
এদিকে হত্যার খবর পেয়ে সীতাকুন্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ ও ওসি তদন্ত সুমন বণিকসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড বলে প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছি। অধিকতর তদন্ড করলে ঘটনার পিছনে আর কোন কারণ আছে কিনা বলা যাবে।