প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা বাগান মালিকদের বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, এতে ১৩ জন চা বাগান মালিক উপস্থিত আছেন।
৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি এবং পরে ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন চা শ্রমিকরা।
প্রশাসন থেকে শুরু করে চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা শ্রমিকদের কাজে যোগদান করতে নানা কৌশল ও বৈঠক করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ছাড়া কাজে যোগদান করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নীপেন পাল বলেন, ‘বহিরাগতরা উসকানি আর ব্রেনওয়াশ করে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের শেষ ঠিকানা প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা মাথা পেতে নেব। কিন্তু একটি মহল শ্রমিকদের ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। ’
এবার ভরা মৌসুমে মজুরি বৃদ্ধির টানা ১৭ দিনের শ্রমিক আন্দোলনের ফলে শত শত কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে চা শিল্পে। টানা শ্রমিক আন্দোলনের প্রথম দিকে সব চা বাগানে উত্তোলন করা কাঁচা চায়ের পাতা প্রক্রিয়াজাত করতে না পারায় পচে ও শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া চা প্লান্টেশন এলাকা থেকে কচি চা পাতা তুলতে না পারায় সেগুলোও এক থেকে দেড় ফুট লম্বা হয়ে গেছে। এই পাতা চায়ের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব নয়।