বৃক্ষরোপণের প্রচারাভিযান চালাতে প্রত্যেককে কমপক্ষে একটি করে গাছের চারা রোপণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যার যতটুকু জায়গা আছে ততটুকু জায়গার মধ্যে অন্তত একটি করে গাছ লাগান। আপনারা যারা বিভিন্ন শহরে বসবাস করেন তারা ছাদে বা আপনাদের বাসার ব্যালকনিতে টবে গাছ লাগাতে পারেন। সরকারি অফিসের ছাদে বিভিন্ন ছাদ বাগান করা যেতে পারে।
আজ বুধবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি গণভবন প্রাঙ্গণে ছাতিম, ছফেদা ও হরতকি গাছ রোপণ করেন।
বর্ষা মৌসুমে ফলজ, ঔষধি ও বনজ গাছের কমপক্ষে তিনটি চারা গাছ রোপণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় দেশব্যাপী বৃক্ষ রোপণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। আওয়ামী লীগ পরিবেশ ও দেশবাসীর প্রতি সর্বদা যত্নশীল। সরকার ও দল সময় মতো ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ১৯৯৮ সালে সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পায়।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বে একমাত্র দেশ যারা তাদের নিজস্ব তহবিল দিয়ে একটি জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এমন মন মানসিকতা বজায় রেখে আমাদের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮৫ সাল থেকে বৃক্ষরোপণ করে আসছে এবং আমরা বাংলা মাস আষাঢ়ের প্রথম দিন প্রতি বছর বৃক্ষরোপণ প্রচারণা শুরু করি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রথম এই উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং এখন আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সংগঠন একত্রে বৃক্ষ রোপণ করছে। প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৃক্ষরোপণ প্রচারণার প্রথম উদ্যোগের কথা স্মরণ করেন।
এ ব্যাপারে তিনি কক্সবাজার উপকূলে গড়ে তোলা ঝাউবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ বনভূমি গড়ে তোলার উদ্যোক্তা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এটি যেকোনো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় চলাকালে এ পর্যটন নগরীকে রক্ষায় ঢাল হিসেবে কাজ করছে। তিনি পরিবেশ ও মানুষ রক্ষায় বর্ষা মৌসুমে প্রকৃতির যত্ন নিতে ও বৃক্ষ রোপণে আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।