যশোরে সারা বছর চাষ হয় গোলাপ, রজনীগন্ধা ও জারবেরাসহ ১১ প্রজাতির ফুল। দেশের ৬টি বিশেষ দিবসকে ঘিরে মূল বেচাকেনা হলেও বছরের বাকি সময় চাহিদা কম থাকায়, সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাব এবং ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
এ অবস্থায় একটি বিশেষ কোল্ড-স্টোরেজ নির্মাণসহ রেল যাতায়াত সুবিধার দাবি জানিয়েছেন তারা। অবশ্য সমস্যা সমাধানে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
গোলাপ, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিউলাস, রডস্কিট ও চন্দ্রমল্লিকাসহ ১১ প্রজাতির ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ও পানি-সারাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে। বাহারি রকমের এসব ফুল ৬টি বিশেষ দিনকে ঘিরে বেচাকেনা হলেও সারা বছরই চাষ করেন কৃষকেরা।
সংরক্ষণ ও বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় যথাসময়ে ফুল বাজারজাত করতে পারছেন না তারা। আর এতে ফুল নষ্ট হওয়াসহ ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানান চাষিরা।
এ অবস্থায়, গদখালী রেলস্টেশন চালুসহ ট্রেনের একটি বগি বরাদ্দ এবং বিশেষায়িত কোল্ড-স্টোরেজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে ফুল ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি আবদুর রহিম।
সমস্যা সমাধানে নানা উদ্যোগের কথা জানালেন জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, ট্রেনের একটি বগি বরাদ্দের জন্য রেল সচিব মহোদয়ের কাছে ইতোমধ্যে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। সেই সাথে ফুল গবেষণার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান খোলা যায় কিনা এর জন্য কৃষি সচিব মহোদয়ের কাছে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।
ঝিকরগাছায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হয়। এখানকার ফুল দেশের ৭০ ভাগ চাহিদা মেটায়।