বাংলাদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচারে অভিযুক্ত পি কে হালদার ইস্যুতে হাইকোর্ট বলেছেন, আমাদের বিভিন্ন আদেশের কারণেই পি কে হালদার আজ সারাবিশ্বে অন্যভাবে আলোচিত। অর্থপাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত। আমরা এমন আদেশ দেব, পি কে হালদার ও অন্যান্য অর্থপাচারকারীরা পৃথিবীর কোথাও শান্তিতে থাকতে পারবে না।
এসময় কোন কোন দেশে পি কে হালদার টাকা রেখেছেন এবং তার মামলা তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা শুধু নির্দিষ্ট করে দিন অর্থপাচারকারীরা কোথায় আছেন, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেব।
পরে আদালত পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী ১২ জুন দিন ঠিক করেন। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে পি হালদারের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলার তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ মে) এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারকে ভারতে গ্রেফতারের তথ্য আদালতকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। একইসঙ্গে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পূর্বে জারি করা রুল শুনানির আবেদন জানান।
২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকের ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে রুল জারি করে আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রুলে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং এক্ষেত্রে দায়ী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।