কাঁটাতারের বেড়া পড়বে বাংলাদেশের সীমান্তেও। টহলের সুবিধায় বানানো হবে, শূন্য রেখার সমান্তরাল রাস্তা। বাড়বে, ব্যাটালিয়ন এবং বি ও পি। আর কর্মকর্তা সংকট কাটাতে, আপাতত সমাধান হিসেবে বিজিবিতে আত্মীকরণ হবে, সদ্য অবসরে যাওয়া ক্যাপ্টেন-মেজরদের।
বিজিবি’র পুনর্গঠন নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে এ সব জানিয়েছেন, বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। তার মতে, বিডিআর বিদ্রোহের কলঙ্ক মুছে, এরই মধ্যে বিজিবি জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ। প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটারের সীমান্ত। দেশের প্রতিরক্ষার শুন্য রেখায় অতন্দ্র প্রহরী হয়ে লাল সবুজের ভূখণ্ড আগলে রাখে একটি বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।
কি রোদ-বৃষ্টি-ঝড়, গরম কিংবা শীত, জেগে থাকে ৫৩০০০ মানুষ। সার্বভৌমত্ব নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকে ষোলো কোটি মানুষ। সময়ের প্রয়োজনেই ২০১০ সালে বিডিআর হয় বিজিবি। কলংকজনক অধ্যায় ভুলে শুরু হয় পুনর্গঠন। প্রতিনিয়তই চলছে সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে আরো সক্ষম হয়ে ওঠার চেষ্টা।
বিজিবি মহাপরিচালক জানালেন, সীমান্তের সুরক্ষায় কাঁটাতারের বেড়া পড়বে বাংলাদেশেও। এ বছরই শুরু হচ্ছে তার কাজ।
গত তিন বছরে বিজিবির ব্যাটালিয়ান বেড়েছে ১১টি। আরো কয়েকটির প্রস্তাব বিবেচনাধীন। এমনকি দুর্গম পাহাড়ে বিওপি তৈরি হবে পাশের দেশের ভূখন্ড ব্যবহার করে।
বাহিনীটিতে কর্মকর্তা সংকট আছে বেশ। সে জন্য বিকল্প ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মহাপরিচালকের মতে, অনেক সীমাবদ্ধতার পরও বিজিবি জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। তা আরো বাড়াতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না তার।