করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল রবিবার বসছে চলতি সংসদের ১৫তম অধিবেশন। বিকেল ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই অধিবেশন শুরু হবে। বছর শেষের এই অধিবেশনে জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা ছাড়াও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আগামী জানুয়ারিতে বছরের প্রথম অধিবেশনের কারণে ১৫তম অধিবেশন সংপ্তি হবে। শোক প্রস্তাব উত্থাপনের মধ্য দিয়ে অধিবেশন শুরু হবে। অধিবেশনে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (এমেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১, ব্যাংকার বহিঃ স্যা বিল-২০২১, মোংলা বন্দর কর্তৃপ বিল-২০২১, বাংলাদেশ পেটেন্ট বিল-২০২১, বয়লার বিল-২০২১, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী বিল-২০২১ এবং মহাসড়ক বিল-২০২১সহ কয়েকটি নতুন বিল উত্থাপন ও পাস হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর, জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশ নিষ্পত্তিসহ অন্যান্য কর্মসূচী থাকছে অধিবেশনে।
অধিবেশনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলে এক বা দুই দিনের সাধারণ আলোচনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর এই আলোচনা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ১৪৭-এর আওতায় সাধারণ আলোচনার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাব নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সিনিয়র সদস্যরা ওই আলোচনায় অংশ নিবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আগামী অধিবেশনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী বলেছেন, বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। করোনাকালের অন্যান্য অধিবেশনের মতো এবারো স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংসদের বৈঠক বসবে। অধিবেশন কে প্রবেশের জন্য সকলকে করোনা নেগেটিভ সনদ নিতে হবে। অধিবেশন কে নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রেখে বসবেন সংসদ সদস্যরা। অধিবেশনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের চর্তুদশ অধিবেশন শেষ হয়। করোনাকালে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত মাত্র ৭ কার্যদিবসের এই অধিবেশন পহেলা সেপ্টেম্বর শুরু হয়।