যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধুর ‘অপরিসীম প্রজ্ঞা ও প্রচেষ্টায়’ একটি আধুনিক ও শক্তিশালী বিমান বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর সময়েই তখনকার সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান মিগ ২১ সংগ্রহ করা হয়েছিল। এছাড়া এএন ২৬ পরিবহন বিমান, এমআই ৮ হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স রেডার এগুলো সবই তিনি সংগ্রহ করেন।
আজ রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ (প্রথম পর্ব) ২০২১’ এ যোগ দিয়ে সরকার প্রধান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে যতটা মনোযোগী ছিল, দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর উন্নয়নে ততটা নজর তাদের ছিল না।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে দিয়ে গেছেন, তারই আলোকে আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকার নৌ ও বিমান বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশপাশি যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমানের ‘অপারেশনাল সক্ষমতা’ বৃদ্ধির বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যদি নির্মমভাবে হত্যা করা না হত, তাহলে হয়ত অনেক আগেই আমাদের প্রতিটি বাহিনী আরো উন্নত ও সমৃদ্ধ হতে পারত।
‘কিন্তু তখন যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের ক্ষমতাটাকে টিকিয়ে রাখার দিকে যতটা নজর ছিল, স্বাধীনতা, সার্বভৈৗমত্ব রক্ষায় আমাদের প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধি বা সেটাকে আধুনিকায়ন করার দিকে তাদের কোনো দৃষ্টিই ছিল না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও তারা ছিল সামরিক শাসক। তারপরও আমি বলব, আমাদের সামরিক বাহিনীর উন্নয়নে আপনারা যদি একটু তুলনা করেন, তাহলে সেটা নিশ্চয়ই দেখতে পারবেন। নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন সরকার প্রধান।
ঢাকা সেনানিবাসের নৌ ও বিমান বাহিনী সদর দপ্তরে এই নির্বাচনী পর্ষদের আয়োজনে দুই বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।