বেকার সমস্যা সমাধানে চাকরিজীবীদের মধ্যে বিয়ে বন্ধে আইন করার দাবি জানিয়েছেন বগুড়ার স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু। তার মতে, দুজন সরকারি চাকরিজীবী বিয়ে করতে না পারলে বেকার সমস্যার সমাধান হবে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সংসদে তিনি আইনমন্ত্রীর কাছে এমন আইনের দাবি করেন। গত বছর সংসদে দাঁড়িয়ে ধর্ষণের জন্য নারীবাদীদের দোষ দিয়েছিলেন যেই আইনপ্রণেতা।
সংসদীয় আসন সীমানা নির্ধারণে নতুন আইন পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় দাঁড়িয়ে বাবলু বলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত সামাজিক রেওয়াজ আছে। চাকরিজীবী পুরুষ চাকরিজীবী নারীকে বিয়ে করতে চান। আবার চাকরিজীবী নারীও একজন চাকরিজীবী পুরুষকে বিয়ে করতে চান। এতে কিন্তু বেকার সমস্যার সমাধান হয় না।
তিনি বলেন, এখানে আইনমন্ত্রী আছেন ওনাকে নিবেদন করবো। এমন একটি আইন উনি সুবিধাজনকভাবে করবেন যে কোনো চাকরিজীবী নারী কোন চাকুরিজীবী পুরুষকে বিয়ে করতে পারবেন না। কোনো চাকরিজীবী পুরুষ কোনো চাকরিজীবী নারীকে বিয়ে করতে পারবেন না। এরকম একটা আইন করা দরকার। তাহলে আমাদের বেকার সমস্যাটা অনেক পরিমাণে লাঘব হবে। এ প্রস্তাবটি আমলে নিলে চার কোটি বেকারের কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
প্রস্তাবের পেছনে যুক্তি তুলে ধরে এ সংসদ সদস্য আরও বলেন, আমার প্রস্তাবের পেছনে আরও একটি কারণ আছে। যখন চাকরিজীবী দম্পতি এক সঙ্গে কাজ করতে বাইরে যান, তখন সন্তান গৃহকর্মীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়। এজন্য আইনটি দরকার। এতে শিশু নির্যাতনও কমবে।’
পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এরকম প্রস্তাব নিয়ে আমি এখান থেকে দুই কদমও হাঁটতে পারবো না। আমি জনপ্রতিনিধি। বাক স্বাধীনতা আছে। তিনি (বাবলু) স্বাধীনভাবে যা ইচ্ছা তাই বলতে পারেন। আমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারি না।’
২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাহজাহানপুর) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাবলু।
গত ১৭ নভেম্বর সংসদে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল- ২০০০‘ সংসদে পাস হওয়ার সময় বাবলু বলেন, ‘নারীবাদীরা নারী স্বাধীনতার কথা বলে নারীদেরকে উন্মুক্ত করে চলছে। যার কারণেই ধর্ষকেরা ধর্ষণের অনুভূতিকে এতটা একসেপ্ট করেছে যে ধর্ষণে উৎসাহিত হচ্ছে।’
এর আগে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বাবলুর একটি ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।