স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চীনের কাছ থেকে নতুন করে ৬ কোটি ডোজ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে সাড়ে ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চীনের সিনোভ্যাকস টিকা প্রতি মাসে ২ কোটি ডোজ করে ৩ মাসে দেশে এসে পৌঁছবে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেশে আগামী মাস থেকেই প্রতি মাসে দেড় থেকে ২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রদান করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে সশরীরে ক্লাস চালুকরণ বিষয়ে এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালুকরণ প্রসঙ্গ নিয়ে সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত বিশেষজ্ঞ দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মতামত গ্রহণ শেষে বলেন, একজন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর হাতে-কলমে শিক্ষার কোনো বিকল্প হয় না। চিকিৎসারত রোগীদের শারীরিক অবস্থার বাস্তবচিত্র না দেখে কোনো মেডিক্যাল শিক্ষার্থী তার কর্মজীবনে ভালো চিকিৎসক হতে পারবে না। এ বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা হলে তিনিও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদানের বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পর্যায়ক্রমে ১ম, ২য় ও ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদান কার্যক্রম আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্লাস শুরু করার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুবিন খান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ।