কয়েকদিন ধরে টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সিরাজগঞ্জ জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও চলনবিলের পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারিরা।
শনিবার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ মিটার (পানি) পরিমাপক আবদুল লতিফ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যমুনা নদীতে কয়েকদিন ধরে টানা পানি বাড়ায় নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল আরও কিছু নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি ঢুকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। বন্যা কবলিত এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত, বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজিবাগানসহ বিভিন্ন ফসল।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পূর্ভাবাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে যমুনা নদীর পানি আরও বাড়তে পারে।
বন্যাকবলিতদের ত্রাণ দেয়া হবে জানিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, বন্যাকবলিত পাঁচটি উপজেলায় ১০০ মেট্রিকটন চাল ও এক লাখ করে নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব ত্রাণ চাহিদা অনুযায়ী তা দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়াও জেলায় ৭৬ মেট্রিকটন চাল ও আড়াই লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। কোনো এলাকায় ত্রাণের প্রয়োজন আছে কি না তা নিয়মিত খোঁজ নেয়া হচ্ছে।