কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের লালনগরে সাবিনা (১৩) নামের এক শিশু ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আসামি শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে অপর তিনজনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেয়। আদালতে আসামি শুকুর আলীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আসামি সেন্টুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী।
অপর দুই আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত একজন আইনজীবী ছিলেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
রায়ের পর আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী বলেন, ‘এ মামলায় আপিল বিভাগ এক আসামির সাজা মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। এ ছাড়া বাকি তিন আসামির সাজা কমিয়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।’
২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের আব্দুল মালেক ঝনুর মেয়ে সাবিনা (১৩) প্রতিবেশীর বাড়িতে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা তাকে অপহরণ করে। এরপর লালনগর ধরমগাড়ী মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে সাবিনাকে হত্যা করে তারা।
পরদিন সাবিনার বাবা আব্দুল মালেক ঝনু বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলার বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর হোসেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে শুকুর আলী, আব্দুল গনির ছেলে কামু ওরফে কামরুল, পিজাব উদ্দিনের ছেলে নুরুদ্দিন সেন্টু, আবু তালেবের ছেলে আজানুর রহমান ও সিরাজুল প্রামাণিকের ছেলে মামুন হোসেন।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। এর মধ্যে কামু ওরফে কামরুল মৃত্যুবরণ করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ তাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এরপর আসামিরা আপিল করেন।