পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জান্নাতি বেগম হ্যাপি (২১) নামে এক গৃহবধূ স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। এ খবর শুনে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে তার বাবা জাকির হোসনেও (৪৫) বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।
আজ সোমবার সকালে পুলিশ বাবা-মেয়ের মরাদেহ উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এর আগে রবিবার রাতে স্বজনরা বিষপানের পর বাবা-মেয়ের মৃতদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রাতেই গৃহবধূর দাদা মন্নান হাওলাদার বাদী হয়ে একটি আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন। পরে নিহত গৃহবধূর স্বামী মামুনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত গৃহবধূ উপজেলার সাপলেজা ঝাটিবুনিয়া গ্রামের মামুন মিয়ার স্ত্রী। রাইসা আক্তার তাবাসসুম নামে তাদের সাড়ে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের মৃত ফরিদ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মামুন হোসেনের হাওলাদারের সঙ্গে ছয় বছর আগে আপন ফুফাতো বোন জাকির হোসেনের মেয়ে জান্নাতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর মামুন ঘর জামাইরমত শ্বশুর বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সম্প্রতি মামুন পরকীয়ায় আসক্ত হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। এর জেরে মামুন স্ত্রীকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। ঘটনার দিন রাতে মামুন স্ত্রী সাথে কথা কাটির পর স্ত্রীকে মানসিক নির্যাতন করেন। এতে জান্নাতি অভিমান করে রবিবার বিকালে বিষপানে আত্মহত্যা করলে এই খবরে তার বাবাও আত্মহত্যা করেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি নূরুল ইসলাম বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূর দাদা মন্নান হাওলাদার বাদী হয়ে একটি আত্মহত্যা প্ররোচনায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় মৃত গৃহবধূর স্বামী মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।