ব্যবসায়ী স্বামীর মৃত্যুর পর দুই মেয়েকে নিয়ে বড়ই বিপাকে পড়েন মাঝ বয়সী এক নারী। আত্মসম্মানের কথা না ভেবে সন্তানদের কথা চিন্তা করে ছোটখাট একটি চাকরিতে যোগ দেন তিনি। তবে কারো কাছে হাত পাতাটা যেন সম্মানে লাগে তাঁর। যে কারণে করোনাকালীন সময়ে খুব একটা সহায়তা মেলেনি। বসুন্ধরার ত্রাণ পেয়ে ওই নারীর মলিন মুখে হাসি ফুটেছে।
বাড়ি বাড়ি ফেরি করে মাছ বিক্রেতা বৃদ্ধা শামছুন্নাহারের মুখেও রাজ্যের হাসি। তার হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে বসুন্ধরার ত্রাণ সহযোগিতা। জানালেন, সংসারের অন্তত এক সপ্তাহের বাজারের খোরাক হয়েছে। এর আগে কখনো এত বেশি সহায়তা পাননি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বসুন্ধরার ত্রাণ সহায়তা পান ওই নারীসহ কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৪৫ জন। দেবগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মমিন বাবুল, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. বাবুল মিয়া।
এর আগে, দুপুরে কসবায় ও বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে বসুন্ধরার ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হয়। সব মিলিয়ে ১৫০ জনের মাঝে বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত থেকে সমন্বয় করেন বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ড্রাস্ট্রি লিমিটেডের আঞ্চলিক বিক্রয় ব্যবস্থাপক মো. মুকিতুল ইসলাম।
আয়োজকদের সূত্র জানায়, ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিলো ১০ কেজি চাল, এ লিটার সয়াবিন তেল, আটা দুই কেজি, ডাল এক কেজি, লবন এক কেজি, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, জিরা ও মাস্ক।